রক্তাক্ত প্রেম

অধিক ভালবাসার প্রকাশ করতে গিয়ে সেবার নিজের হস্ত রঞ্জিত করার ইচ্ছা হয়েছিল। রঙে নয়, রক্তে।
স্বাভাবিকভাবে অল্প বয়সের প্রেমিকরা এরকমই হয়। প্রেমিকার জন্য কিছু করার জন্য অধীর আগ্রহ।

পার্শ্বে আমার বিখ্যাত খালাতো ভাই।
নীরবে আমার কার্যকলাপ দেখে যাচ্ছিল সে। রাগ ও বিরক্তি তাকে চুপ করিয়ে রেখেছে। আমি অপেক্ষায় আছি কখন সে তার নীরবতা ভেঙে আমায় গাল দেয়া শুরু করবে।

অপেক্ষার প্রহর শেষ হল আর ও গালির স্টক খুলল।

"বলদ দেখছি জীবনে, তোর মত দেখি নাই। মাইয়া মাইনষের লাইগা হাত কাটবি!"

"এই মাইয়া তো আর দশটা মাইয়া না। এইটা আমার সোনাপাখি। 😍😍"

"সোনা না বাল!
পরে যখন বাঁশ দিয়া যাইবে তখন উব্বুরায়া কানবি।"

"চিতায়া কানলে কি কোন প্রব্লেম?"

"চিতাইতারবি না তো। বাঁশ খাইলে কেউ চিতাইতারে না। উব্বুরায়া থাকে। এইটাই রিয়ালিটি।"

"কস কি!
আমারে আবার ডাক্তার উব্বুরাইতে নিষেধ করছে। ঐটা নাকি স্বাস্থ্যকর নয়। আর উব্বুরায়া থাকলে শয়তানে নাকি দুষ্টুমি করে!! 😁😁"

"মজা লও!
লও লও। নিজের পু...তে যখন বাঁশঝাড় ডোকপে তখন কাইন্দা দিশা পাবা না।"

"ডোকপে না। আমি ওইগুলা সাইজ কইরা মাহফিলে দান করমু। 😎
আর ফালতু কথা বাদ দিয়া অহন আমার হাতের এইখানে এই রশিটা বাইন্দা দে। তাইলে রক্ত কম বাইর হবে।"

"পারমু না। রক্ত বাইর করার জন্যেই তো কাটতাছোস। অহন আবার ভয় কোন বালের!"

ভাই আমার রাগে গজর গজর করতে করতেই হাতে রশি বাঁধল। ব্লাড রিলেশান। মুখে খাম্রাইলেও অন্তরে পেরচন্ড পরিমাণ মায়া।

চোখ বন্ধ কইরা কাটলাম। কি দিয়া কাটছি ওইটার নাম কমু না। সিক্রেট ওয়েপন।
তয় ব্যথা খুবই কম।
ফলাফল খুবই উৎকর্ষজনক। হস্তে তার নামের পেরথম অক্ষরের ছাপ।
কিন্তু আব্বা আম্মার চোখে পরলে আমারে বাইরায়া ঘরেত্তে বাইর কইরা দিব। শীতকালে যাবার জায়গার বড়ই অভাব। তাই দুয়েকদিন ফুলহাতা গেঞ্জিগুলা পড়লাম দিনের বেলায়ও।

আফটার আ লং টাইম,
আমার হস্তের দাগ এখনো রহিয়াছে।
কিন্তু মন থিকা মুইছালাইছি বালিকারে।

কারণ, কিশোর বয়সের প্রেমগুলো বৈশাখের ঝড়ের মত। আকাশ কালো করে আসবে। ঝরঝর করে ভেজাবে। তারপরে হঠাৎ আকাশের কালার চেঞ্জ। ওয়েদার রিপোর্ট শুন্য।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তর্ক বিতর্ক

ফুলশয্যা

“শোকীয় ভ্রমণ”