ফুলশয্যা
সেইদিন রাতে
তোমার বাড়ি, ঘড়-দরজা, চৌকাঠ, মাচানে
আলোকসজ্জা হবে সুখের প্রদীপ জ্বেলে।
নতুন পাতা খাটে দামী চাদর ঢাকা বিছানায়
চারটে বালিশ আর গোলাপ আঁকানো নকশী
কাঁথায়
গোলাপের পাঁপড়ি ছড়ানো মেঝের আলোতে
সাজসাজ রব পড়বে সমস্ত পাড়ায়,
চাঁদের আলোয় গানের কলিতে
কিশোর কিশোরীদের হাসির বন্যা বইবে।
প্রৌঢ়াদের আড্ডা, যুবতীদের খুনসুটি
রান্নাঘরে ব্যস্ততা, বাচ্চাদের চিৎকার চেঁচামেচি।
কেউ একজন চুপ করে তাকিয়ে থাকবে
ওপরে সন্ধ্যাতারার স্বর্গ দেখতে দেখতে।
তর্জনী ও মধ্যমার ফাঁকে গুঁজে রাখা ফিল্টারে
অঙ্গারের পতনশীল বেগ হিসেব করে
কিংবা ধোঁয়ার কুণ্ডুলীতে সার্কেল বানিয়ে
বেঞ্জোডায়াজেপিনে ইনসমনিয়া কাটাবে।
সত্যিই কি কাটবে তাতে?
কি জানি! আগামীর জন্য সম্ভাবনা বলি
কিংবা অতীতের ভুলচুকের হিসেবনিকেশ
সবই একটা টানেলের ইঙ্গিত।
যার শেষ প্রান্তে বাইপোলার ডিসঅর্ডার
তলানি দিতে পারে সুইসাইডে।
এসব কি সত্যিই হবে?
হতেও তো পারে। সেদিন রাতে
অনুব্রতর হাসির দমকে কেউ একজন
শেষ পাতার গল্প থেকেও হারিয়ে যাবে।
আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিলে
সাড়ে তিন হাত জায়গা দখল করার পরে
ফুলশয্যার গল্পটা আর কানে আসবে না।
আত্মরক্ষা করতে গিয়ে আত্মঘাতী হলে
তাকে তো আর দোষ দেয়া যায় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন