প্রতিরক্ষাকারীদের অজানা গল্প

ফেসবুকে বাংলাদেশের আর্মড ফোর্সের পেজ থেকে বলা হয়েছিল যে যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ইত্যাদি ভালবাসি তবে তাদের পেজে লাইকদিতে হবে।

আমার স্পষ্ট কথা, আমি ভালবাসিনা। কারন বছরের পর বছর তারা এদেশে দৃষ্টান্তমুলক কিছু করেছে বলে মনে পরছে না। তারা বিদেশে গিয়ে মুমূর্ষু লোকের সেবা করে আর এদেশে তার নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী না খেয়ে মারা যায়।

লাখ লাখ সেনা বিভিন্ন বাহিনীতে রয়েছে অথচ দেশের সংকটপুর্ণ মুহূর্তে, বিভিন্ন অচলাবস্থায় তারা আমলাদের পশ্চাদ্দেশে ঘোরে। রাজনৈতিক দলগুলো তো তাদের নীরবতার সুযোগেই আজ যে যাকে পারছে লাশ ফেলে দিচ্ছে।

দেশের প্রতিরক্ষা এরা করবে অথচ প্রতিদিন শয়ে শয়ে লোক বর্ডারে মারা পরছে; হচ্ছে পাচার। বড় বড় কথা ট্রেনিং এর সময় ঠিকই বলে আর মাঠপর্যায়ে গিয়ে টাকার "মোঁচা" খোঁজে।

তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভূক্ত। কারণ, এদেশে শিক্ষা অনেক পূর্বেই ব্যবসার অন্যতম রিলায়েবল সোর্চ) খুলছে অথচ যাদের জায়গায় কিনে সেটা প্রতিষ্ঠা করে তাদের জমির জন্য বাজার মুল্যেরও কম দাম দেয়।

অপেক্ষায় থাকে মিশনে যাবার। কেন জানেন??
কারন তাতে সারাজীবন বসে বসে খাওয়া যাবে। সাথে সম্মানজনক পদক-টদকের তো অভাব নেই।

এরকম হাজারো কারন লিখতে পারি যা আপনাদের ভাল না বাসার জন্য যথেষ্ট।

তাই সকল তিন বাহিনীসহ সকল প্রতিরক্ষাকারী ব্যক্তিকে অনুরোধ করছি একথাটা অন্তত মনে রাখুন,
"আগে ঘর তবে তো পর।"
কারন, আপনাদের বেতনের টাকাটা আসে আমার বাবার দিনরাত মাঠে কাজ করে ফসল উৎপন্ন করে অগ্রহনযোগ্য ও নিম্নমুল্যে বিক্রির থেকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তর্ক বিতর্ক

ফুলশয্যা

“শোকীয় ভ্রমণ”