আমি কখনো তর্কে জড়াই না। কারণ তর্কের একটা পর্যায়ে আমার নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অতি পরিচিত আর পরিচিত ব্যতীত কারো সাথে তো কখনোই নয়। কারণ সেক্ষেত্রে বিপদটা উভমূখী হতে পারে। তার নিজের জন্যেও আর আমার জন্যেও। যদিও দেখতে ছোটখাটো হবার কারণে অপরিচিতরা কেমন যেন গায়ে পড়েই আমার সাথে ঝগড়া করতে আসে। আমার চেহারার ভেতরে যে একটু বখাটে বখাটে ভাব আছে সেটা প্রমাণিত। তাই অপরিচিতদের ক্ষেত্রে আমি চুপ করে শুধু শুনি। আর বিশেষ ক্ষেত্রে একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। যে টা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। ভয় , বিতৃষ্ণা কিংবা রাগান্বিত করার অপারগতায় সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। আর আমি মনে মনে কোন একটা গানের গীতকবিতা মনে করার চেষ্টা করি। এটা ওই লোকের করা অপমানের কথা খুব দ্রুত ভুলিয়ে দেয়। যদিও অপরিচিত ব্যক্তির চেহারা আমি কখনোই ভুলি না। এতদিন পর্যন্ত যতজন আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে তাদের প্রত্যেককেই আমি এখনো মনে রেখেছি। অনেকে তার ব্যবহারের কারণেই আমার সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে হ্যাঁ , পরিচিতদের কেউ কিছু বললে সেটার পরিণতি খুব একটা সুখকর হবার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ যাকে আমি এতদিন ধরে চিনলাম সে আমা...
১০ই মে। বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঢাকার আনন্দ ছেড়েছুড়ে রওয়ানা দিলাম। বাসস্টপ যাব। রিকশা দরকার। - ওই মামা যাবেন ? - হ যামু। কই যাইবেন ? - জনপথ মোড়। কত দিব ? - ৩০ টাকা দিয়েন। - না মামা ২০ টাকা দিব। গেলে চলেন। - ২০ টাকা দিলে তো অয় না মামা। কি আর করার! চলেন। পকেটে টাকার সঙ্কট স্টুডেন্টদের জন্য ইউনিভার্সাল ট্রুথ। আমার জন্য সেটা একটু বেশিই ছিল ওইরাতে। বিভিন্ন ঝামেলার পেট ভরাতে গিয়ে আমার পকেট শুন্য হয়েছে। তাও একেবারে কাঁটায় কাঁটায় হিসেব করে বাসা থেকে বের হলাম । রিকশা চলছে। আমি বাকি রাতটা কিভাবে কাটাবো তার প্লান করছি। রিকশাওয়ালা আমার অমনোযোগিতার সুযোগ নিয়ে কোন দিকে যাচ্ছে তা আল্লাহ আর রিকশাওয়ালাই জানেন । রিকশা যখন থামল তখন ৮:০৩ মিনিট। আটটায় আমার বাস তবে বিশেষ একজন বলল যে সাড়ে আটটার আগে ছাড়বে না। যাহোক , কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই বলল যে “ সোজা রাস্তা ধরে পুলিশ ফাঁড়ির কাছে যান। ওখানে গেলেই বাস পাবেন। ” হাঁটতে হাঁটতে গেলাম। যেতে যেতে প্রায় ০...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন