"আমার ক্রাশসমূহ"
ক্লাস ফাইভ। সম্পুর্ন টেনশনবিহীন অবস্থায় বৃত্তি পরীক্ষা দিতে গেলাম। প্রস্তুতি বেশ ছিল। কিন্তু হাতের সুন্দর লেখা না থাকার কারণে বিশেষ সুবিধা করতে পারিনি। তবে, দুদিনের জন্য হলেও পিছনের বেঞ্চে বসা বালিকার উপ্রে ক্রাশ খাইলাম। ক্রাশের সেটাই শুরু। ক্লাসের মেয়েদের দিকে তাকাইতাম না। তারপরেও পোলাপানগুলা বিভিন্ন সমীকরণের সৃষ্টি করত। পরিবারে কিঞ্চিত সমেস্যাও হইছিল ওইটা নিয়া। সে নাহয় আরেকদিন বলব। এরপরে মাদ্রাসার জীবনের শুরু। চঞ্চল থেকে নীরব হবার সূচনা। অস্থিরতা থেকে ব্রেক নেবার সূচনা। আধ্যাত্মিক জীবনেও পদচারণার সূচনা। দৃষ্টি নিম্নে ঝুঁকানোর সূচনা হবার কারণে বালিকাদের চেহারা তেমন খেয়াল করাই হইত না। তাই ক্লাস এইটের শেষ পর্যন্ত ক্রাশহীন অবস্থায়ই কাটল। এইটের বৃত্তি পরীক্ষা শেষে বেড়ানোর সুযোগটা হাতছাড়া করব না বলেই নানাবাড়ি গেলাম। আমরুল গাছে উঠে আমরুল খাইতেছিলাম। রাজকীয় অবস্থা। আমার গাছে আমিই রাজা। খাওয়া থেকে চোখ সরাতে বাধ্য হলাম মিষ্টি সুরে অট্টহাসির শব্দ শুনে। বালিকা সৌন্দর্যের আধার। গোলগাল চেহারা। চিকন ঠোঁট আর এলো চুলের সাথে অসম্ভব চাঞ্চল্যের কম্বিনেশান। ফলাফল, I'M CRUSHED. ...